পাক-ভারত যুদ্ধের কারনে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার কৃষকরা ভয়ভীতির মধ্যে আছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেঃ জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন,আমাদের সীমান্ত এলাকা নিরাপদ ও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। কৃষকরা নির্ভয়ে নির্বিঘ্নে ধান কাটতে পারবে।
তিনি বলেন,কৃষি জমি রক্ষায় নতুন করে ভুমি আইন করার চিন্তা ভাবনা চলছে। কারন বাংলাদেশ ৪০ শতাংশ কৃষির উপর নির্ভরশীল। যখন দেশে জনসংখ্যা ছিল সাড়ে ৭ কোটি তখন জমির পরিমান ছিল অনেক বেশী। এখন ১৮ কোটি মানুষ সেই অনুপাতে জমির পরিমান অনেক কমে গেছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন,কৃষি যান্ত্রিকীকরন এবং কৃষকদের চেষ্টায় ধানের ভালো ফলন হয়েছে। গত বছর আমাদের চাল আমদানী করতে হয় নাই এবারো আমদানী করতে হবে না।
কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক নির্দেশ দেন কৃষকদের যেন কম মুল্যে সেচের ব্যবস্থা করা হয়। পানির বিল কমাতে হবে,কৃষকরা হয়রানীর মধ্যে না পড়ে। কৃষকদের উৎপাদন খরচ যেন কম হয়।
কৃষি জমি রক্ষায় নুতন করে আইন প্রনয়ন এবং ভুমি ব্যবহার নীতিমালা খুব শীঘ্রই করা হবে। কৃষি জমির উপর অবৈধ ভাটা গড়ে উঠেছে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। দুর্নীতি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন,উচ্চ পর্যায়ে সরকারী কর্মকর্তাদের দুর্নীতি কমাতে হবে। ইতিমধ্যে ২৫৬টি ভাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৮ কোটি মানুষের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করা খুবই দুরহ কাজ। তারপরেও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানিয়ে গণমাধ্যমকর্মীর উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, মিডিয়াগুলো সত্য সংবাদ পরিবেশন করলে দেশ উপকৃত হয় আর মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করলে প্রতিবেশীরা আইনের সুযোগ নিয়ে মিথ্যা রটনা চালায়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার মোখলেসপুর ইউনিয়নে ঢেলপীর এলাকার বোরো ধান কর্তন উদ্বোধনকালে কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেঃ জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী একথা বলেন।
এসময় উপস্থিত কৃষি সচিব এমদাদুল্লাহ মিয়ান, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয় প্রকল্পের চেয়ারম্যান প্রকল্প পরিচালক মোজাফ্ফর হোসেন, জেলা প্রশাসক মোঃ রফিকুল ইসলাম,পুলিশ সুপার মোঃ মারুফাত হোসাইন প্রমূখ।