
এপ্রিল থেকে জুন মাস, অর্থাৎ বাংলা চৈত্র থেকে আষাঢ়—এই সময়টাকেই বলা হয় বজ্রপাতের মৌসুম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সময়ে বজ্রপাতে প্রাণহানির হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাতের ঝুঁকি থাকে সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বারবারই জনগণকে বজ্রপাতের সময় নিরাপদ থাকার পরামর্শ দিয়ে আসছেন। বজ্রপাত সাধারণত ৩০-৪৫ মিনিট স্থায়ী হয়। আর এই সময়টুকু যদি আপনি সচেতন থাকেন, তবে একটি জীবন বাঁচাতে পারেন।
জেনে নিন বজ্রপাত থেকে নিরাপদ থাকার ১২টি কার্যকর পরামর্শ:
- বজ্রপাতের সময় বাড়ির ভেতর থাকুন। ঝড় শুরু হলে ঘরের বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।
- উঁচু গাছপালা, মোবাইল টাওয়ার, বৈদ্যুতিক খুঁটি বা ধাতব স্তম্ভ থেকে দূরে থাকুন।
- ফাঁকা মাঠে থাকলে কানে আঙুল দিয়ে, পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে মাথা নিচু করে বসে পড়ুন।
- শিশুদের বাইরে খেলতে দেবেন না, বাড়ির ভেতর রাখুন।
- বজ্রপাতের সময় মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, টেলিভিশন, ফ্রিজসহ সব বৈদ্যুতিক যন্ত্রের প্লাগ খুলে দিন এবং সুইচ বন্ধ রাখুন।
- খোলা জায়গা বা মাঠে অনেকজন একসঙ্গে থাকলে আলাদা হয়ে যান—একসঙ্গে থাকা বিপজ্জনক।
- উঁচু ভবনের ছাদে উঠবেন না, নিচতলা বা দালানের ভেতর আশ্রয় নিন।
- যদি বাইরে যেতে হয়, রাবারের জুতা পরে যান—রাবার বিদ্যুৎ প্রতিরোধ করে।
- নদী, পুকুর, ডোবা বা যেকোনো জলাশয় থেকে দূরে থাকুন।
- ছাউনিবিহীন নৌকা বা ট্রলারে মাছ ধরবেন না। থাকলেও নৌকার ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
- গাড়িতে থাকলে গাড়ির ধাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ রাখবেন না।
- বজ্রপাতের পূর্বাভাস থাকলে পূর্বেই নিরাপদ স্থানে চলে যান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বজ্রপাত একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেও সচেতনতা থাকলে প্রাণহানি অনেকটাই কমানো সম্ভব। স্কুল, মসজিদ, ইউনিয়ন পরিষদ বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে নিয়মিত প্রচারণা চালানো দরকার।