• রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]

দিনাজপুরে গ্রীষ্মকালীন সময়ে পেঁয়াজের চারা উৎপাদন

নিজস্ব প্রতিবেদক, দিনাজপুর: / ৫২ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫

দেশের ক্রমবর্ধমান পেঁয়াজের চাহিদা ও ঘাটতি মেটানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে খরিপ-২ মৌসুমের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। কৃষি মন্ত্রনালয়ের তত্বাবধানে লাগসই কৃষি প্রযুক্তি, দক্ষ ব্যবস্থাপনা, আধুনিক কলাকৌশল প্রয়োগ করে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ (ডিএই) বিএডিসি, বারিসহ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। এই চারা কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করে পেঁয়াজ উৎপাদন করা হবে।

দিনাজপুর হর্টিকালচার সেন্টার সূত্র জানিয়েছে, ব্যাপকভাবে এই পেঁয়াজের চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। প্রথমবারের মতো এই প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে পেঁয়াজের চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কৃষকদের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। পদ্ধতিগুলো হলো- (১) ওপেন ফিল্ড-এ পলিথিন শেড এর মাধ্যমে (২) ওপেন ফিল্ড-এ আগাছা নিয়ন্ত্রনের জন্য পলিথিন মালচ এবং উপরে পলি শেড দিয়ে (৩) ২ ইঞ্চি ১ ইঞ্চি প্লাস্টিক ট্রে তে সরাসরি চারা উৎপাদন। তিন পদ্ধতির মধ্যে সবচেয়ে খোলা মাঠে পলিথিন মালচ্ ও পলিথিন শেড দিয়ে চারা উৎপাদন পদ্ধতি-ই বেশি গ্রহনযোগ্য প্রতিয়মান হচ্ছে। কেননা এই পদ্ধতিতে অবাঞ্চিত আগাছা যেমন প্রতিরোধ করা যায়, তেমন বৃষ্টিতে গোড়াপচা রোগসহ বিভিন্ন রোগ-বালাই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

সূত্রটি আরও জানায়, দিনাজপুর হর্টিকালচার সেন্টারের এই সফলতার পিছনে প্রধান ভূমিকায় অত্র প্রতিষ্ঠানের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. এজামুল হক ও তার দক্ষ টিম। উৎপাদিত চারা বিনামূল্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। এতে কৃষকরা খুবই আনন্দিত। অসময়ে পেঁয়াজ চারা উৎপাদন বেশ কঠিন ও দূরূহ ব্যাপার। কেননা এ সময়ে পেঁয়াজের চারা অঙ্কুরোধগম কম হয়। বিভিন্ন রোগ-বালাই লেগে পেঁয়াজের চারা পঁচে যায়। তারপরও দিনাজপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. এজামুল হক, কৃষিবিদ মো. ইমরুল আহসান ও উপ-সহকারী উদ্যান কর্মকর্তাদের নিরলস প্রচেষ্টায় সব বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সফলভাবে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চারা উৎপাদন করে চলেছেন ।

দিনাজপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক মো. এজামুল হক জানান, আমাদের উত্তরাঞ্চলে আমন ধান কেটে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে সাধারনত চাষি ভাইয়েরা পেঁয়াজের চারা রোপন করে থাকে। তখন একসাথে সকল চাষি পেঁয়াজের বাম্পার ফলন পেয়ে দাম কম পেয়ে থাকে। এর ফলে আর্থিকভাবে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বাজার অস্থিরতা রোধকল্পে ও চাষিদের বাণিজ্যিকভাবে লাভবান করতেই অসময়ে পেঁয়াজের চারা উৎপাদন করে গ্রীষ্মকালীন এ পেঁয়াজের চারা বিনামূল্যে ডিএই এর মাধ্যমে চাষি পর্যায়ে বিতরণ করা হচ্ছে।
সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের আদর্শ কৃষক আবুল হোসেন বাঘা জানান, সদর ডিএই এর মাধ্যমে অসময়ে এই গ্রীষ্মকালীন দূর্লভ পেঁয়াজের চারা পেয়ে দারুণ খুশি হয়েছি। তিনি পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের আশা করছেন।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শষ্য) মো. খালেদুর রহমান কৃষিতে বাংলাকে বলেন, উত্তরবঙ্গের কোথাও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন হয় না। সরকারের প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায় দিনাজপুরে আমরা এই পেঁয়াজের চারা উৎপাদন করে সদর, বিরল ও বীরগঞ্জ উপজেলার ৬৪জন কৃষকের হাতে তুলে দিয়েছি। রবিশষ্য মৌসুমের আগেই এই চারা থেকে কৃষকেরা আমাদের পেঁয়াজ উপহার দিতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

Facebook Comments Box


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
bdit.com.bd
error: Content is protected !!