দিনাজপুরের কাহারোলে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখছে পার্টনার ফিল্ড স্কুল। কৃষকদের বাড়ির উঠানে বা জমির পাশেই কোনো জায়গায় এই স্কুল পরিচালিত হয়ে থাকে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো কৃষকদের স্মার্ট কৃষকে পরিণত করা। উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা। ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু সহিষ্ণু প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করা।

প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এন্ড রুরাল ট্রান্সফার সেশন ফর নিউট্রিকশন এন্টারপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) প্রকল্পের আওতায় এই স্কুল গুলো পরিচালিত হচ্ছে।

উপজেলা স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে এই প্রকল্প শুরু হয়েছে। যেমন বর্তমানে কাহারোল রোপা আমনের জন্য উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়ন ও ডাবোর ইউনিয়ন পার্টনার ফিল্ড স্কুল চলমান রয়েছে। প্রতিটি স্কুলে ২৫ জন করে কৃষক কৃষানীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১৫ জন কৃষক ও ১০ জন কৃষাণী। প্রতিটি স্কুলে ১০ দিন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণে কৃষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশপাশি উপজেলায় কৃষি উৎপাদনে ব্যপক প্রভাব ফেলেছে বলে জানা গেছে। ২নং রসুলপুর ইউপি ও ৬নং রামচন্দ্রপুর ইউপিতে উত্তম কৃষি চর্চা।

কৃষক রনজিৎ কুমার বলেন, আগে আমরা সনাতন পদ্ধতিতে জমিতে চাষাবাদ করতাম। এই প্রশিক্ষন পাওয়ার পর আমরা স্মার্ট কৃষকে পরিনত হয়েছি। আমরা এখন কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে অধিক ফসলের উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি।

রসুলপুর ইউনিয়নের কৃষাণী জাহানারা বেগম বলেন, এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আমরা রোপা বোরো ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয় সম্পর্কে অবগত হয়েছি। ফলে ১নং ডাবোর ইউপি ও ৪ নং তারগাঁও ইউপিতে ফিল্ড স্কুল বোরো ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি করে আমরা আর্থিভাবে লাভবান হতে পারবো বলে আশা করি।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মল্লিকা রানী সেহানবীশ জানান, কৃষকদের স্মার্ট কৃষকে পরিণত করা। উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা, ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু সহিষ্ণু প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে পার্টনার ফিল্ড স্কুল চলমান রয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে কৃষকদের স্মার্ট কৃষকে পরিণত হবে। আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি হবে, ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু সহিষ্ণু প্রযুক্তি সম্প্রসারণ হবে।

তিনি আরও জানান, এই পদ্ধতি বোরো ধান আমন মৌসুমে উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে ও এই প্রকল্প শুরু হয়েছে।